অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাউজানে ময়লা-আবর্জনা থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে জৈবসার ও মাছের খাবার। এর ফলে একদিকে এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যাচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয়রা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
বাসা-বাড়ির ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট বর্জ্য সাজিয়ে রেখে প্রতিদিন বিকিকিনি চলছে চট্টগ্রামের রাউজানে। অপনচশীল ময়লা-আবর্জনা প্রতি বস্তা ২০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
এসব ময়লা আবর্জনা দিয়ে দৈনিক এক হাজার কেজি জৈব সারসহ মাছ ও হাঁস-মুরগীর খাবার তৈরি হচ্ছে। সহজলভ্য হওয়ায় খামারিরাও এসব খাবরের দিকে ঝুঁকছেন।
”আমরাএখানে দৈনিক এক হাজার কেজি সার উৎপাদন করছি।” বলেন একজন উৎপাদক।
বাসা-বাড়ির ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট থেকে উৎপাদিত ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই প্যারোট পোকা মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
”যেহেতু প্রোটিনের পরিমাণ বেশি সেহেতু এই খাবার খাওয়ালে সমস্যা নেই ।” বলেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী।
বর্জ্য থেকে জৈব সারসহ হাঁস-মুরগী ও মাছের খাবার উৎপাদনের এই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি সারাদেশে একটি মডেলে পরিণত হবে।
রাউজান পৌরসভা মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, “একদিকে পরিবেশ পরিষ্কার হচ্ছেম অপরদিকে মানুষ উপকৃত হচ্ছে, আমার মনে হয় এটা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে পৌরসভাও উপকৃত হবে।
দেশের সব পৌরসভা বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার এমন উদ্যোগ নিলে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে এবং পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে।
Leave a Reply